ইবির জিয়া হল প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়াউর রহমান হলের ডেটাবেইস তৈরির জন্য তথ্য নিতে গেলে হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় প্রভোস্ট আবদুল জলিল পাঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান।

তিনি বলেন, ‘আবাসিক অনাবাসিক ছাত্রদের ডেটাবেইস তৈরির জন্য তথ্য নিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। আগামী শনিবার হল বডি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার প্রতিকার চাইব। উপাচার্য শতভাগ আবাসিকতার নির্দেশ দিলে হল বডি কাজ চালিয়ে যাবে।

জানা যায়, এর আগে গত সোমবার হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠান। এতে আবাসিকতা করার বিষয়টি ওঠে। পরদিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আবাসিক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হলের রুমগুলো পরিদর্শনে যাওয়াতেই ঘটে বিপত্তি। হলটির অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক। অনাবাসিক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মীরা হল থেকে নিচে নেমে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। এসব দেখে একপর্যায়ে হল প্রভোস্ট হল থেকে নিচে নেমে আসেন।

পরে প্রভোস্ট কার্যালয়ে বৈঠকে বসলে প্রভোস্টের সঙ্গে ছাত্রলীগের বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রভোস্ট কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। বের হওয়ার পথে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রভোস্ট কার্যালয়ের একটি জানালার কাঁচ ভেঙে দেন।

বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক . দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি জেনে আমরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে ডেকে কথা বলেছি। তারা আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ছাড়া অন্য হলগুলো নিয়মের মধ্যেই চলবে।

প্রসঙ্গত, শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার ছয় মাস পর গত ১১ ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ফুলপরী নামে নবীন এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে একই সঙ্গে তাদের হল ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত পিন্টু হোটেল নামে একটি খাবার দোকানে খাবার দিতে দেরি করায় মালিক পিন্টুকে মারধর হোটেলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :