ই-কমার্স প্রতারণা

অন্যের প্লট দেখিয়ে জেনেভিয়া এক্সপ্রেসের ফাঁদ, ১৫০ কোটি হাতিয়ে উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ মে ২০২৩, ১৩:৫৮ | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২৩, ১৩:৪৮

জেনেভিয়া এক্সপ্রেস নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিত্যপণ্য দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি অন্যের প্লট দেখিয়ে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লায় (কৃষি মার্কেটের পাশে) অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ছিল বলে জানা গেছে।

প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে গত শনিবার রাত ৯টা থেকে তিনটা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলনও করেন ভুক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় রবিবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়ে‌ছে।

প্রতারিতরা জানান, তিন বছর ধরে মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লা এলাকায় জেনেভিয়া এক্সপ্রেস নামে ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। কথিত এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার নামে এক নারী। তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

গ্রাহকদের অভিযোগে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে। পরে আস্তে আস্তে কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রি শুরু করে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে দু-তিনজনকে তা হস্তান্তরও করে বলে জানা গেছে।

পর্যায়ক্রমে তারা বেশি দামের ফ্ল্যাট কম দামে অফার দিয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রাহকরা কম দামে ফ্ল্যাট কেনার জন্য জমি, দোকান, গাড়ি ও স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগের কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও ফ্ল্যাট এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দেওয়ায় গ্রাহকরা কোম্পানিটির দেখানো জায়গায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন। কোম্পানির নামে দেখানো প্লটের জায়গায় নিজস্ব কোনো প্লটই নেই। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গেলে সেখানে প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন।

প্রতারণার শিকার সোহাগ মিয়া বলেন, ‘ঢাকা উদ্যান এলাকার একটি প্লট দেখিয়ে বলেছিলেন সেখানে তারা কমদামে ফ্ল্যাট বিক্রি করবেন। সে অনুযায়ী আমি জেনেভিয়া এক্সপ্রেসকে দুটি ফ্ল্যাটের জন্য আশি লাখ টাকা অগ্রিম পেমেন্ট করি। টাকা দেওয়ার পর তারা নানাভাবে আমাকে ঘোরাতে থাকেন। আমাকে দেখানো তাদের প্লটের বিষয়ে আমি পরে ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, প্লটটি তাদের নয়। আরেকজনের প্লট দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘পরে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহিদুল ইসলামকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করি। আমি ছাড়াও তার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়েছেন। কয়েকশ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।’ (ঢাকাটাইমস/০৭মে/কেআর/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :