পাবনা-৪ আসনের এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার (১৮ মে) তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি অভিযোগে বলেন, গত ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে কাজ করছেন পাবনা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তার পছন্দের লোককে প্রার্থী করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আনারস প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার জন্য প্রভাবিত করছেন। এছাড়াও সংসদ সদস্য গালিব শরীফ তার ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে আনারস প্রতিকের পক্ষে প্রচারণার জন্য মাঠে নামিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা ও বিধি রয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সাংসদ গালিব শরীফ আনারস প্রতীকের পক্ষে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তারের জন্য কাজ করছেন। তিনি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার এই কর্মকাণ্ড নির্বাচনি আচরণবিধির ২২ এর ১ ও ২ উপধারা এবং ৩১ ধারা সরাসরি লঙ্ঘন।
মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমপির প্রভাব বিস্তারের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাবনা-৪ আসনের সাংসদ গালিবুর রহমান শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও, তিনি কল রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওতায় ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন সাঁড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার। তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
এমপি গালিবুর রহমান শরীফের দুলাভাই হলেন আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। কিন্তু এমপি তার দুলাভাইয়ের পক্ষে না থেকে সমর্থন দিচ্ছেন এমদাদুল হক রানা সরদারকে।
অন্যদিকে, এমপির সমর্থনের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের নেতাকর্মীরা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর পক্ষে সমর্থন দিয়ে মাঠে কাজ করছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠছে। উত্তেজনা বিরাজ করছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন