‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি থাকছে না, জানালেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

জুলাই ‘পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে এমনটা জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়।
তিনি পোস্টে লেখেন, পরে নানা আলোচনার পর আবারও কর্মসূচিটির অন্তর্ভুক্তি ঘটে। বড় কোনো কর্মসূচি ও বড় একটি দল একসাথে কাজ করলে মাঝে মাঝে এমন কিছু ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামতের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও লিখেছেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করা হচ্ছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ অ্যান্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।
এর আগে গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্মরণে প্রতীকী উদ্যোগ হিসেবে ১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে ১ মিনিটের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বুধবার (০২ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টা (চিফ অ্যাডভাইসর, জিওবি)-র ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, এই ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ১৮ জুলাই রাত ৯টায় হঠাৎ দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়। তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন।
পুরো দশদিন পর ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয় এবং ৩১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হলেও সর্বশেষ সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনেই মধ্যে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন ৫ আগস্ট ফের কয়েক ঘণ্টার জন্য মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দুপুর ২টার পর এনটিএমসির নির্দেশনাতেই দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল হয়।
(ঢাকাটাইমস/৩ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন