কেন বারবার যমজ সন্তান হয়? জবাব দিলেন সেলিনা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৭| আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:০৮
অ- অ+
ডানপাশের ছবিতে অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির সঙ্গে তার তিন পুত্রসন্তান।

সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জিতে রাতারাতি লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ২০০১ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব জিতেছিলেন। তার চাবুক ফিগার আর সুন্দর মুখে নজর আটকে ছিল অভিনেতা-প্রযোজক ফিরোজ খানের।

এরপর ছেলে ফরদিন খানের বিপরীতে নায়িকা হিসাবে সেলিনাকে লঞ্চ করেন ফিরোজ খান। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেভাবে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে পারেননি সেলিনা। বিয়ের পর শোবিজ দুনিয়া ছেড়ে এখন ঘোর সংসারি এই সুন্দরী।

তিন সন্তানকে সামলাতেই হিমসিম খাচ্ছেন সেলিনা। ২০১২ সালে ও ২০১৭ সালে দুইবার যমজ সন্তান প্রসব করেন অভিনেত্রী। যদিও দ্বিতীয়বার তার এক সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। হৃদরোগের কারণে ছেলেকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

কিন্তু কেন বারবার যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করেন সেলিনা? তবে কি প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভবতী হন না অভিনেত্রী! তিনি কি আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মতো কৃত্রিম পদ্ধতিতে গর্ভবতী হয়েছেন দুইবারই?

সম্প্রতি এমনই বাঁকা প্রশ্নের মুখে পড়েন সেলিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ‘যেমন খুশি প্রশ্ন করো’র সুযোগ দিলে এহেন কটাক্ষ ধেয়ে আসে নায়িকার দিকে। তার জবাবও দিয়েছেন ‘জানশিন’ ছবির নায়িকা।

সেলিনা লেখেন, ‘হয়তো এই প্রশ্নটা আপনাদের অনেকের মনেই রয়েছে। আসলে আমার একটা বিরল জিনগত পরিস্থিতি রয়েছে, এর জন্য আমি গর্ভবতী হলে দেখতে আলাদা যমজ সন্তান বা একাধিক সন্তানকে একসঙ্গে ধারণ করব, এটা বংশগত রোগ।’

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘কিছু মানুষের মধ্যে এমন কিছু বিরল জিন থাকে, যার জেরে ওভালুয়েশনের সময় একের বেশি ডিম্বাণু বের হয় এবং শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে পড়ে। এর জন্যই বংশ পরম্পরায় যমজ সন্তান আসতে থাকে।’

সেলিনার স্বামী পিটার হাগ অস্ট্রিয়ার নামকরা ব্যবসায়ী। তার হোটেল চেন রয়েছে। ২০১২ সালে দুই যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সেলিনা, ২০১৭ সালেও দুই যমজ ছেলে হয়েছিল অভিনেত্রীর। এক সন্তানকে হারানোর যন্ত্রণা সামলে আপতত তিন সন্তানকে আগলে রেখেছেন অভিনেত্রী।

দুই দিন আগেই পুত্র হারানোর যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি শেয়ার করে সেলিনা লিখেছিলেন, ‘আমাদের জীবনের এই পর্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার পাঁচ বছর লেগে গেছে। কিন্তু আমি আর পিটার অবশেষে সেই সময়ের কথা বলার মতো সাহস জোগাড় করে ফেলেছি। আমাদের সন্তানরা সময়ের আগেই জন্মেছিল (৩৬ সপ্তাহ) এবং শিশু হারানোর আঘাত মোকাবিলা করা সহজ ছিল না।’

তিন মাস এনআইসিইউতে ছিল সেলিনার ছেলে শামস, তবুও শেষরক্ষা হয়নি। কাজের ক্ষেত্রে শেষবার রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের শর্টফিল্ম ‘সিজন গ্রিটিংস’-এ পর্দায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী সেলিনা জেটলিকে। ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি।

ওই বছরই দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেলিনা জানান, বিয়ের পর বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে তার ব্যক্তিগত। ভালো চরিত্র খুঁজতে খুঁজতে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। সে জন্যই অভিনয় থেকে বিরতি নেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মেহেরপুর সীমান্তে আবারও নারী শিশুসহ ৮ জন পুশইন
২০২৬ সালের পবিত্র রমজান মাস শুরু কবে হতে পারে, জানাল আমিরাত
সাবেক তিন সিইসি’র মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত
বগুড়ায় দুর্বৃত্ত‌দের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা