বাস থেকে নামিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রচেষ্টা পরিবহনের ২ স্টাফসহ গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী একটি বাসের যাত্রী মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ওই বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপারসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার বিকালে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, প্রচেষ্টা পরিবহনের কন্ডাক্টর আসিফ সরদার (২২), হেলপার রাকিব মাতুব্বর (২৪) ও তার মা লিলি বেগম (৫০)।

মেয়েটির দুলাভাই জানান, তার শালিকা ঢাকার হাজারীবাগ খাদিজাতুল কোবরা নামের একটি মহিলা মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় তাদের সঙ্গে থাকে সে।

রবিবার বিকালে তাকে আমার শ্বশুরবাড়ি নগরকান্দার পীরেরগ্রামে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব- ৬৪৮৩) একটি বাসে তুলে দেই। তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন শ্বশুর কালাম শেখ।

মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়েকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।

ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুয়েল বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এরপর সোমবার সকালে ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেয়া তথ্য মতে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ভাঙ্গায় পৌঁছার পর মেয়েটিকে বাস থেকে না নেমে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামিয়ে হেলপার রাকিবুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/এআর)