রাতের ঢাকায় দ্রুত ঘরে ফেরার তাড়া সবার!
রাত যত গভীর হচ্ছে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে জনমনে একধরনের শঙ্কা পরিলক্ষিত হয়েছে। সড়কেও যান চলাচল সীমিত। সময়ক্ষেপণ না করে কম যাত্রী নিয়েই দ্রুত গন্তব্যে ছুটে চলছে যাত্রীবাহী বাসগুলো। সবার যেন দ্রুত ফেরার তাড়া!
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলামোটরে প্রাইভেটকার আর সিএনজির পরিমাণ বেশি। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছাড়া লোকাল কিংবা সিটিং সার্ভিস বাসের চলার খুবই সীমিত। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দেখা মিলে আসাদ গেইটগামী লাব্বাইক বাসের। গোটা কয়েক যাত্রী নিয়ে সিগন্যাল পার করে চলে গেল। অন্যান্য দিনের মতো যাত্রীর আগমনের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় থাকেনি। অন্য ছুটির দিনগুলোতে রাস্তা ফাঁকা পেলেও মন্থরগতিতে গাড়ি চলত। ছুটির দিনে ঘুরতে বের হওয়া মানুষদের জন্য অপেক্ষায় থাকত বাসগুলো। কিন্তু আজ যেন যাত্রীদের পাশাপাশি চালক আর তার সহযোগীরও দ্রুত ফেরার তাড়া!
বেসরকারি কর্মজীবী রুহিনা আহমেদ পৌনে একঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে কাঙ্ক্ষিত বাস পেয়েও স্বস্তি পাচ্ছেন না। এই যানজটের শহরে ফাঁকা রাস্তাঘাটও শান্তি দিচ্ছে না। শুধুই নিরাপদে ঘরে ফেরা তাড়া তার চোখেমুখে।
তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, 'অফিস থেকে ফেরার সময় অল্প সময়েই বাস পেয়ে যাই। কিন্তু আজ বাস পেতে দেরি হয়েছে। ভয়ও কাজ করছে। বাসা থেকে বারবার খোঁজ নিচ্ছে। এখন শুধু ঠিকমতো ফিরতে পারলেই হলো।'
নানা নাটকীয়তার পর শনিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে তাদের এই সমাবেশ। অনুমতি না পেলেও মতিঝিলের শাপলা চত্বরের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে জামায়াতে ইসলামী। এ অবস্থায় রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠে নেমেছে র্যাব-পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য। সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক উচ্চ ক্ষমতার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অপ্রীতিকর যেকোনো অবস্থা ঠেকানোর জন্য সতর্ক পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস /২৭অক্টোবর/টিএ/ইএস)