নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু, পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে দুই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়।

রবিবার ভোরে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের ফার রকওয়ে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ফোন করে পুলিশে খবর দেওয়া হলে রবিবার ভোররাতে কুইন্সের ফার রকওয়ে এলাকার বিচ ২২ স্ট্রিটের আগুন লাগিয়ে দেওয়া একটি বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে পায় পুলিশ। এ সময় হামলাকারী পুলিশের ওপরও ছুরিকাঘাত করে, একপর্যায়ে আহত একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।

জ্যামাইকা হাসপাতালে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, তারা স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ৯১১ নম্বরে একটি ফোন কল পায়। সেখানে এক তরুণী বলেন, তার চাচাতো ভাই তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করছে। পরে দুই অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলে তারা সেখানে এক ব্যক্তিকে লাগেজ নিয়ে হাঁটতে দেখেন।

অফিসাররা ওই ব্যক্তির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে একটি ছুরি বের করে এবং একজন অফিসারকে ঘাড়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং দ্বিতীয় অফিসারের মাথায় আঘাত করে। একপর্যায়ে আহত একজন অফিসার তার আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করেন।

পরবর্তীতে আরও পুলিশ অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর তারা বাড়ির সামনে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়েকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও বাড়ির ভেতরে আরও তিনজনের মৃতদেহ খুঁজে পায় জরুরি পরিষেবার সংস্থাগুলো।

পুলিশ আরও জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে একজন ১২ বছর বয়সী ছেলে, ৪৪ বছর বয়সী এক নারী এবং ৩০ বছরের বেশি বয়সী এক পুরুষ রয়েছেন। এছাড়াও ৬১ বছর বয়সী একজন নারীকে একাধিক ছুরিকাঘাতের ক্ষতসহ আহত অবস্থায় মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, নিহতদের সকলেরই ছুরিকাঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

৩৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম কোর্টনি গর্ডন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। সে নিহত পরিবারেরই সদস্য। এর আগেও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এমআর)