সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ-ভারত, পরিসংখ্যানে এগিয়ে কারা?

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। টেস্টে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেও টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া নাজমুল শান্তর দল। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বরাবরই ব্যর্থ বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই এবার ভালো কিছু করতে হলে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে টাইগারদের।
টানা ১৫টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ভারত। তাই তাদের বিরুদ্ধে জিততে নিজেদের সর্বোচ্চটাই দিতে হবে বাংলাদেশকে।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। তবে সংস্কারের পরই শ্রীমাণ মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিল ভারত। যেখানে প্রথম কোনও পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
আজ সেই মাঠেই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এটি হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারতের ১৫তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আগের ১৪ বারের দেখায় ভারত ১৩ ম্যাচে জিতেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় কেবল একটি। সান্ত্বনার সেই জয় এসেছিল দিল্লিতে, ২০১৯ সালে।
সিরিজ শুরুর আগে গতকাল সফরকারীদের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। নিজেদের লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এখানে জিততে এসেছি। এটা আমাদের জন্য সিরিজ জয়ের বড় একটা সুযোগ। এখানে আসার আগে ঢাকায় আমরা অনুশীলন করেছি। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। আশা করছি ভালো করব। আলাদা করে কিছু করিনি। অবশ্যই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ। সবাই এখানে ভালো করতে চায়। আমরাও সেরা চেষ্টাটা করব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকেই কম-বেশি। সেটি মাথায় থাকলে ভালো করতে পারব না। আমাদের মনোযোগ ভালো করার দিকে, ফলাফল পক্ষে আনার দিকে।’
গোয়ালিয়রে উইকেটের ধরন প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘উইকেট স্লো নাকি ধামাকা তেমন কিছু মাথায় নেই সত্যি বলতে। জেতার জন্য খেলব অবশ্যই। আমাদের লক্ষ্য আছে সিরিজ জয়ের এবং ভালো খেলার। তাই (পিচ নিয়ে) ওরকম চিন্তাভাবনা করছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাঠে খেলতে নামলে কে আছে কে নাই চিন্তা করি না। আমাদের খেলার দিকেই ফোকাস করি। প্রসেস মেনটেইনের চেষ্টা থাকে। তাদের হারানোর সুযোগ আছে, এমন না আমরা ওদের বড় দলকে হারাইনি। টি-২০ তে বড় দল ছোট দল নাই। যে ভালো করবে সেই জিতবে।’
অন্যদিকে, ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এই সিরিজে তরুণরা ফলাফল পক্ষে আনবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। তারা তাদের রাজ্যের দলে যেখানেই খেলেছে ভালো পারফর্ম করেছে। এখানে ভিন্ন কিছু হওয়ার কথা নয়। এই সিরিজে ওপেন করতে চলেছেন সঞ্জু স্যামসন। উইকেট স্লো নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উইকেট ভালোই হয়। এখানকার পরিস্থিতি এবং পিচ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। শিশির নিয়েও ভাবনা রয়েছে আমাদের। মাঠে কি করণীয় সেটা আমরা জানি। যদি সবাই অবদান রাখতে পারে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা আশানুরূপ ফলাফলই পাব।’
পেসার মায়াঙ্ক যাদবের অভিষেকের ইঙ্গিতও দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তবে তাকে খেলানোর বিষয়ে একটি সতর্কতাও উল্লেখ করেছেন সূর্যকুমার, ‘ওর মধ্যে একটা এক্স ফ্যাক্টর রয়েছে। এমনটা নয় যে শুধু ওরই মধ্যে রয়েছে, বাকিদের মধ্যেও সেই ব্যাপারটা আছে। যদিও আমি ওকে নেটে খেলিনি, কিন্তু ওর খেলা দেখেছি। ও কি করতে পারে, ওর মধ্য কতটা প্রতিভা রয়েছে সেটা আমরা সকলেই জানি। ওর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সময়ই লক্ষ্য করেছিলাম, ওর মধ্যে অতিরিক্ত গতি রয়েছে। তবে এখন এত বেশি খেলা হয়, ক্রিকেটারদের দিকেও নজর রাখতে হবে। দলের জন্য ও বড় অস্ত্র হতে চলেছে, আশা করছি দলকে সমৃদ্ধ করবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৬ অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন