জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন, নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই সমর্থন জানানো হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মহাসচিব বা জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা কোনোভাবেই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না। যদিও বিবৃতিতে সরাসরি ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে মহাসচিবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে।।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের বিবৃতির জন্য সদস্যদের সর্বসম্মতিতে সম্মতি প্রয়োজন।
ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সুনিদিষ্টভাবে নিন্দা করতে ব্যর্থতার অভিযোগে বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করে ইসরাইল। সেই সাথে তার ওপর ইসরাইলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে দেশটি।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলের ওপর ইরানের জঘন্য হামলার নিন্দা করতে পারেন না; তিনি ইসরাইলের মাটিতে পা রাখার যোগ্য নন।’
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রেফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। তবে পরে তাদের দুজনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নরওয়ের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরদাল রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার তৃতীয় বছরে পা রাখতে চলেছে, সুদানে গত দেড় বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও হামাস একে অপরকে ধ্বংসের লক্ষ্যে প্রায় এক বছর ধরে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে।’
‘এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে সহিংসতা এবং রক্তপাত বন্ধের জন্য যারা বা যেসব সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, নোবেল কমিটি এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের বিশ্লেষণ তা ই বলছে’ উল্লেখ করেন হেনরিক উরদাল।
প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং অর্থনীতি-এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত পুরস্কার নোবেল প্রদান করা হয়। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/এসআইএস)