নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ নিয়ে সরব শ্রীলেখা

কলকাতার হাসপাতালে ইন্টারনি চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণ ও হত্যার ভয়াবহতা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেখানকার মানুষ। তারই রাজ্যের দুই প্রান্ত থেকে এরকমই দুই ঘৃণ্য খবর সামনে এসেছে। নির্যাতিতার মা নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, বেশ কিছুদিন ধরে ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করছিল তার প্রতিবেশী । জানাজানি হলে অভিযুক্ত নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন টলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র।
অভিনেত্রী তার ফেসবুকে লিখলেন, ‘আরও একটি ধর্ষণ। এবার নিউটাউনের যাত্রাগাছিতে ১৬ বছরের মেয়েকে। ধর্ষককে কী বলব?’ ‘ধন্যবাদ ভাই, খুনটা অন্তত করেননি? আমাদের ১৪ গুষ্টির ভাগ্য ভালো। হয়তো এরকম সয়তেই বাস করছি আমরা। ভয় দেখিয়ে সব কেড়ে নিয়ে যেটুকু ওরা দেবে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকব সবাই।’
যাত্রাগাছি-কেষ্টপুর বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া বিবেকানন্দ পল্লিতে ঘটেছে এই ঘটনা। খবর জানাজানি হতেই সেখানকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ আটকাতে গেলে তাদের ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় হালদারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, নাবালিকার বাবা-মা প্রতিদিন সকালে কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে যেতেন। সেই সুযোগে প্রায়ই নির্যাতিতার ঘরে যেতেন প্রতিবেশী। তিনি সম্পর্কে আবার মেয়েটার ‘পাড়াতুতো কাকা’।
ওই নাবালিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে শুক্রবার। তারপর সে মাকে সব জানায়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ‘মেডিকেল রিপোর্টে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ হয়েছে তা স্পষ্ট।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ইন্ধন জুগিয়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় কয়েকজন। তাতেই নাকি প্রতিবেশীরা ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায় ৷
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা গাইন জানিয়েছেন, ‘নিকৃষ্ট ঘটনা৷ অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার সঙ্গে ওই মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও শুনেছি।’
(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এজে)

মন্তব্য করুন