জমকালো আয়োজনে শেষ হলো অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সমাবর্তন

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সমাবর্তন-২০২৩। ইংরেজি মাধ্যমের এই প্রতিষ্ঠানটির এ-লেভেল ও ও-লেভেল সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা এই সমাবর্তনে অংশ নেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটন-এর গ্র্যান্ড বল রুম হলে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা সফলতার সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষ করার পেছনের কারিগর শিক্ষক ও বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকের পারস্পরিক আলাপচারিতায় ও আনন্দ কোলাহলে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. এম নূরুন নবী, ডিরেক্টর তুবা আরবার ও প্রধান কার্যনির্বাহী মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হয়। স্কুলটি শিক্ষার মানদণ্ডে বাংলাদেশের একমাত্র আই.এস.ও. সনদপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সমাবর্তনে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. এম নুরুন নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জার্মান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক সংযুক্তি বিষয়ক প্রধান জিলক ইশমিয়ার। তিনি গ্রাজুয়েটদের তাদের সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ভবিষ্যত গড়তে পরামর্শ দেন।

জিলক ইশমিয়ার বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে নতুন নতুন সম্ভাবনার মুখোমুখি হতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বর্তমান প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি আলোকপাত করেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের লব্ধ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।

সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড। তিনি তার বক্তব্যে স্কুলটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দক্ষতার মেলবন্ধনে একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে আহ্বান জানান। বলেন, তোমাদের এখনই এগিয়ে যাওয়ার সময়। যুবকরাই আগামী দিনে দেশের সম্পদে পরিণত হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রায়মান ও ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজা, গোয়েখ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর টিম ফাউথ, ক্যাম্ব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শাহিন রেজা, ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার কাজী নাহিয়ান প্রমুখ।

সমাবর্তনে বক্তারা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উৎসবটি পূর্ণতা পায়।

সমাবর্তনের আহ্বায়ক ছিলেন মো. শামসুল হক চৌধুরী।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/ইএস)