গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজনের ৩৮ ইসলামি গান প্রকাশ
উদীয়মান কবি ও গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজন ছোটবেলা থেকেই মেধাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩ বছর ধরে সাহিত্যচর্চা ও ইসলামি সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তার ৩৮টি ইসলামি গান প্রকাশ হয়েছে।
ইসলামি সংগীতাঙ্গনে গীতিকার হিসেবে একের পর এক সংগীত লিখে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ইসলামি সংগীত প্লাটফর্ম কলরব ও হ্যাভেন টিউন থেকে সাড়া জাগানো কিছু সংগীত প্রকাশ হওয়ার পর তিনি আলোচিত হন। গত বছর প্রকাশ হওয়া ‘মিছে আশা’ শিরোনামের মরমি গজলটি কলরবের হলিটিউন ইউটিউব চ্যানেলে ৪.৯ মিলিয়ন মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
এছাড়া ‘প্রেরণার আলো’, ‘ক্ষণিকের জীবন’, ‘বাবা হারানোর বেদনা’, ‘কি হলো মোর দেশটাতে’, ‘লাল সবুজের স্বাধীনতা’, ‘বিজয়ীর মান’, ‘শোনো প্রিয় আম্মু’, ‘খোকার ইবাদত’, ‘সবার প্রিয় মা’, 'দাম বেড়েছে', ‘মা যে আমার নয়নমণি’, ‘রহমের বৃষ্টি’, ‘অনাথ শিশু’, ‘এই সমাজের মানুষ’, ‘বিদায়ের ডাক’, ‘পথশিশু’, ‘বার্তা নিয়ে সুমহান’, ‘এসেছে রমজান’, 'প্রবাসী বাবা', ‘বরকতের মাস’, ‘ত্যাগের ঈদ’, ‘কুরবানী’, ‘ঈদ মোবারক’, ‘বিদায়ের ডাক’, 'আপন হলে রব' সংগীতগুলো তার অনন্য সৃষ্টি।
নিয়মিত তার লেখা সংগীত মুক্তি পাচ্ছে। কিছু সংগীত প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। সেগুলো হলো ‘মুসাফির’, ‘বিদায়ী ডাক’, ‘আল্লাহকে ভালোবাসি’, ‘খুলুকে আযীম’, ‘নামে মুসলমান’, ‘নতুন কুঁড়ি’, ‘করতে হবে জয়’, ‘আধুনিক মহামারী’, ‘সেলফি ভাইরাস’, ‘চোগলখোরী’, ‘তেলবাজ’, ‘আধুনিক প্রেম খেলা’, ‘মৃত্যুর হাতছানি’, ‘দুনিয়ার রীতি’, ‘সেদিন’, ‘মুহাম্মদ রাসুল’, ‘কোরআন পড়ো’, ‘মরণ’, ‘কী জবাব দেবে’, 'থাবা', ‘প্রার্থনা’, ‘অনুনয়’ প্রভৃতি।
পড়াশোনার পাশাপাশি তার এ প্রচেষ্টা যদি মানুষকে দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করে, জনমনে আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) প্রেম সঞ্চার করতে পারে; তবেই তার সার্থকতা। একজন গীতিকার হিসেবে শাহারুল ইসলাম সুজন এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। গানগুলো শ্রোতাদের মন জয় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজন ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি সুন্দরবনের কোলঘেঁষা খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকবর হোসেন, মাতা শেফালি খাতুন। দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার লেখালেখির সূচনা। উচ্চমাধ্যমিকে এসে দৈনিক পত্রিকায় ছড়া, কবিতা, গল্প ও ইসলামি গান রচনায় মনোনিবেশ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এমআর)