নির্বাচনে কারচুপি করতে বিএনপি সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭| আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২
অ- অ+

২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনে, মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিএনপি সরকার। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। জারি হয় জরুরি অবস্থা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

বিএনপি জোট সরকারের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেওয়া হয়। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুঃশাসন।

তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাঁদের ওপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়।

‘কিন্তু তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা ৯ম সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। তবে নির্বাচন সংস্কারের যে দাবি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট উপস্থাপন করেছিল সেগুলি থেকে তারা কিছু বিষয় কার্যকর করে- যেমন: ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট বাতিল, এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়। আর বিএনপি এককভাবে মাত্র ৩০টি আসনে জয়ী হয়। বাকি আসনগুলি উভয় জোটের শরিকেরা পায়।

ভাষণে দেশ গঠনে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টা ও সফলতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।

তিনি সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/জেএ/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
মে দিবস ২০২৫-এ বয়ে আনুক কর্মজীবীদের আশার আলো
৩২ বছর পর ৩১ জুলাই হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন
আজ  মহান মে দিবস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা