মানিকগঞ্জে পুত্রবধূর ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত, শ্বশুর আহত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পুত্রবধূর ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি তোহরা বেগম (৫৫) নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি দেখে ফেলায় শ্বশুর সোনামুদ্দিন বিশ্বাসকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুত্রবধূ আয়রিন আক্তারকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আয়রিন আক্তার নিহতের প্রবাসী ছেলে রাসেল বিশ্বাসের স্ত্রী। ছুটি শেষে ৯ দিন আগে রাসেল প্রবাসে গিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াই মাস আগে রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের আয়রিন আক্তারের বিয়ে হয়।
মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে পড়ার পর তোহরা বেগম ও আইরিন আক্তার টেলিভিশন দেখছিলেন। এসময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আইরিন আক্তার তার শাশুড়ি তোহরাকে টর্চ লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় তোহরা বেগম চিৎকার দিলে আইরিন আক্তার কাপড় দিয়ে শাশুড়ির মুখ চেপে ধরে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে তার হাত, মুখ, মাথা ও গলায় জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশ ঘর থেকে টেনে বের করে বারান্দার শৌচাগারে নিয়ে আসে আইরিন।
সেখানে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে লাশ গুম করার উদ্দেশে টেনে ঘরের বাইরে বের করা হয়। এ সময় শ্বশুরের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি বিষয়টি টের পান। পরে তিনি এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে আইরিন। একপর্যায়ে আইরিনের হাত থেকে জোর করে ছুরি ছিনিয়ে নেন শ্বশুর সোনামুদ্দিন। পরে তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে আইরিন আক্তারকে আটক করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, আইরিন আক্তার এ বছর এইচএসসি পাস করেছে। তার সঙ্গে কলেজের এক শিক্ষকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই শিক্ষক গতরাতে আইরিনের শ্বশুর বাড়িতে এলে তার শাশুড়ি দেখে ফেলে। এ কারণেই শাশুড়িকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তারা।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আইরিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন