প্রচণ্ড শীতে খানসামায় বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী 

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৯

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীর চেয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জানান জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে প্রতিদিন ৫৫-৬০ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন রোগী ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সমস্যার রোগী ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও আন্তরিকতার সহিত রোগীদের সেবা দিচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন রোগীর ভিড় বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩৫-৪০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন এবং ৯-১০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সেই সাথে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা তুলনাম‚লক বেশী বলে জান যায়।

আমেনা খাতুন (৩৫) গত বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া হলো, পরে হাসপাতালে এলে চিকিৎসক ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যর্মীদের ট্রিটমেন্টে আগের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো। জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা আহসান হাবীব আসেন তার ২ বছরের ছেলেকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভর্তি করান হাসপাতালে।

তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়া ও চেহারা ফ্যাকাসে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি, এখন চিকিৎসা চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এসময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মলয় কুমার মন্ডল বলেন, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। এছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকারও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :