গুলির শব্দ নেই ঘুমধুম সীমান্তে, ফের পাঠদান শুরু সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮ | প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

বান্দরবানের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে। এখন আর শোনা যাচ্ছে না গুলির শব্দ। ফলে সীমান্তের এ পারে একদিনের জন্য পাঠদান বন্ধ রাখা ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা এবং একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান শুরু করা হয়েছে। এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র আরাকান বিদ্রোহীদের কয়েকদিনের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় সোমবার সীমান্তবর্তী এলাকার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে ছুটি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

আজ দুপুরে ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি জানান, সকাল থেকে এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওপারে উত্তেজনা কিছুটা কমে আসায় স্থানীয়দের মাঝেও আতঙ্ক কমেছে।

বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তাই সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।ঘুমধুম সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় বিজিবি।

উল্লেখ্য, মায়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। এ অবস্থায় অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

তিনি গত (২৮ জানুয়ারি) বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনে উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি, ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনে হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ নির্দেশনা দেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :