মায়ের সঙ্গে ছাদে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে ভেজা কাপড় নাড়তে বাসার পঞ্চম তলার ছাদে যান মা মুসলিমা বেগম।
সেখান থেকে মায়ের আচল ছেড়ে চোখের পলকে ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে পড়ে যায় শিশু সন্তান ফারদিন আহামেদ আব্দুল্লাহ। এতে প্রাণ যায় মুসলিমার আদরের সন্তান ফারদিনের।
বুধবার বিকালে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ছাদ থেকে পরে যাওয়ার পর তৎক্ষনিক শিশুটির মা কাপড় চোপড় ফেলে দৌঁড়ে গিয়ে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়, পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল ৫টায় শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনরা সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর সর্দার গলির ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়ায় থাকতো। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। বোন ফারিয়ার বয়স (৮) বছর।
মুসলিমা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘ফারদিন প্রায় সময় বায়না করতো ছাদে যাবে। মাঝে মধ্যে ছেলে মেয়ে দুজনকেই নিয়ে যেতাম। মেয়েটি তাকে দেখে রাখতো। আজ যে কী হলো! বুঝলাম না! মেয়েকে ছাড়াই নিয়ে গেলাম। মেয়েটাও সে সময় পাশে ছিল না আজকে।’
ফারদিনদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বানিসরদী গ্রামে। তার বাবার নাম মহিবুর রহমান। বাবা পর্দার দোকানের কর্মচারী।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এসআইএস)