চাটমোহরে মা-ছে‌লে হত্যা মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার

পাবনার চাটমোহরে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চাটমোহর দিঘুলিয়া গ্রামের মোজাম আলী ওরফে মোজাম্মেলের দুই ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও মো. হোসেন আলী (৩৭) এবং রাজবাড়ী জেলার সদর থানার খানখানাপুর দত্তপাড়ার মো. মোস্তফা মিজীর ছেলে মো. হুমায়ুন মিজী ওরফে হৃদয় (২৮)।

পুলিশ সুপার জানান, আব্দুর রশিদ গত ৭ বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। প্রবাসী রশিদের স্ত্রী লাবনী খাতুন তার বাড়ি নির্মাণের জন্য গত কয়েক দিন আগে প্রায় ২৫০০০ ইট কেনেন এবং ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করে বাড়িতে রাখেন। ২৫ জানুয়ারি রাতে লাবনী খাতুন ও তার ছেলে রিয়াদ খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরের দিন সকালে ঘরের দরজা খোলা এবং আসবাব পত্র এলোমেলো দেখে সবাই খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে লাবনীর মৃতদেহ ছাগল রাখার ঘরে এবং ১০ বছরের ছেলে রিয়াদের মৃতদেহ বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিনি জানান, লাবনী খাতুনের বিপুল টাকায় ইট কেনা এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের খবরে আসামিদের ধারণা হয়, তাদের কাছে অনেক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার আছে। এই ধারণা নিয়ে আসামি মো. হোসেন আলী ভুক্তভোগীদের বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে তার আপন ছোট ভাই সাদ্দাম তাদের পূর্বপরিচিত ফরিদপুর জেলার আরেক দুর্ধর্ষ চোর হুমায়ুন কবির হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ২৫ জানুয়ারি রাতে ওই বাড়িতে চুরি করতে যায়। এক পর্যায়ে লাবনী খাতুন ও তার সন্তান রিয়াদ টের পেয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের হত্যা করে এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রিয়াদের লাশ বাড়ির পাশের গাছে ঝুলিয়ে রাখে এবং লাবনীর লাশ গোয়াল ঘরে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে তারা স্বর্ণের রিং, চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, দুই জোড়া রুপার নুপুর, রুপার পায়েলসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)