কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- আতিক হাসান (২২), সুমন আলী (২৩), টিপু সুলতান (৩৩) ও আবু জাফর (২৫। এদের মধ্যে আতিক হাসানকে দুটি ৯ (১) ও ৭ ধারায় ৬০ বছরের ( দুইবার যাবজ্জীবন) কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি সাজা শেষ হওয়ার পর অপরটির সাজা শুরু হবে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে নিজ বাড়ি থেকে ওই কলেজছাত্রী পায়ে হেটে উত্তরনারীবাড়ি এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর তাকে অপহরণ করে সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয় তার পরিবার। পরে অপহৃতের চাচা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার ১০ দিন পর অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনিসুর রহমান জানান, মামলার ৯ বছর পর আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর তিন আসামি সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফরকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার টাকা অপহৃত পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। আতিক হাসানের একটি সাজা শেষ হওয়ার পর অপরটির সাজা শুরু হবে বলে বিচারক আদেশ দিয়েছেন।
(ঢাকা টাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এসএ/এআর)

মন্তব্য করুন