ঘরে ঢুকে চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

খুলনার পাইকগাছায় গভীর রাতে চুরি করতে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে ও চোখে-মুখে সুপার গ্লু ও টেপ লাগিয়ে এক নারীকে (৪৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার একটি বাড়ি থেকে সোমবার সকালে ভুক্তভোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে কে বা কারা গাছ বেয়ে বাড়ির ছাদে প্রবেশ করে। এরপর সিঁড়ির দরজা ভেঙে তার রুমে ঢোকে। ওই নারীর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলেন। ফলে তিনি একাই ছিলেন বাড়িতে। গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে চোখে সুপার গ্লু ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করে। চোর ওই নারীর এক জোড়া সোনার দুল এবং আনুমানিক দুই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে তার স্বামীকে খবর দেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। রবিবার রাতে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। পড়ালেখার জন্য ছেলে ও মেয়ে বাইরে থাকেন। দুর্বৃত্তরা ঘরের পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ওই বাড়িতে ঢোকে। ওই নারীর গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার চোখ ও মুখে আঠা লাগানো ছিল। তার হাত ও পা বাঁধা ছিল। ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
ওই নারীর ছেলে বলেন, বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী জানান, একতলা ছাদের উপরের সিঁড়ি ঘর খোলা ছিল। তার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপার গ্লু দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষকরা। স্ত্রীর অবস্থা স্বাভাবিক হলে চোর কয়জন ছিল জানা যাবে।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক সুমন রায় বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে এক নারীকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এই মুহূর্তে তার মুখ ও চোখ রক্ষার জন্য অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
পাইকগাছা থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই নারীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা বা সুপার গ্লু দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন