রংপুর অঞ্চলে ৩১৪ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ

রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন নদনদী থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩১৪ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরণ করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অথবছরে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তারা। অথচ ১০ বছর আগে এই তিন জেলায় ইলিশ আহরণ ছিল শূন্যের কোঠায়।
রংপুর বিভাগীয় মৎস্য দপ্তর থেকে জানা গেছে, দশ বছর আগেও রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলো থেকে ইলিশ মাছ আহরণ ছিল শূন্যের কোঠায়। এখন বর্ষা মৌসুমে তিস্তা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও ধরলা নদীতে ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ। এমন অবস্থায় মৎস্য অধিদপ্তর এসব নদী থেকে ইলিশ মাছ আহরণের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তর স্থানীয় জেলেদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, সচেনতামূলক সভা সেমিনারের আয়োজন করে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার জেলেদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীতে ইলিশের প্রাপ্যতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এর ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের জেলা সদর, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলার নদ-নদীগুলো থেকে ৩১৪ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০৫ মেট্রিক টন।
বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে গত বছর ৩২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানের সংখ্যা ছিল ১০৩টি। এ সময় ১৮০ কেজি মা ইলিশ আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ২ হাজার ৪৫২ মিটিার কারেন্ট জাল। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। মামলা হয় ২১টি জরিমানা করা হয় ১১ হাজার ৪০০ টাকা। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় নয় জনকে।
গেল বছর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। এ সময় ১৩ হাজার জেলের প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হয়।
রংপুর বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে এই অঞ্চলে ইলিশের প্রাপ্যতা ছিল শূন্যের কোঠায়। বর্তমান সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কারণে ধারাবাহিকভাবে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন