মোবাইল নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল নববধূর, গ্রেপ্তার স্বামী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের জেরে প্রাণ গেল নববধূ তাছলিমা আক্তারের। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হামিদ উজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীকে ছুড়ি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলেদের সাথে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে মোবাইল ধরতে দিতো না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেননি। এরপর আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুড়ি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭-৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী ছেলে আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধূ তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরমান আরিফ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামিকে আটক করেছে। পরে থানায় সোপর্দ করা হয়।(ঢাকা টাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন