জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বারসহ তিন চোরাচালানকারী আটক 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১০টি স্বর্ণের বারসহ তিন চোরাচালানকারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার উচনা সীমান্ত এলাকা তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব উচনা গ্রামের রহিদুল ইসলাম (৪০), মঞ্জুর রহমান (৪২) ও ফরিদুল ইসলাম (৪৫)।

বিজিবি জানায়, সোনা চোরাচালানকারী বাংলাদেশ থেকে ভারতের সোনা পাচার করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালানা করে ১০টি স্বর্ণের বার, ১টি মোটরসাইকেল, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৯ হাজার ৩০ টাকাসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত মালামালের বর্তমান বাজার মূল্য হবে ১ কোটি, ১২ লাখ, ৬ হাজার ৪১৯ টাকা। আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য মালামালসহ আটককৃতদের পাঁচবিবি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান উপ অধিনায়ক মেজর আতিক হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক মেজর আতিফ হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছু অসাধু চোরাচালানকারী অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ভারতীয় কিছু চোরাচালানকারীরা তাদের সঙ্গে জড়িত থাকে বলে জানা গেছে। চোরাচালানকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে নিরাপদ রুট হিসেবে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা টার্গেট করে থাকেন। স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলেও তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন অনেক সময়। স্বর্ণ চোরা চালানের ক্ষেত্রে তারা ভাড়িদের ব্যবহার করে থাকেন। ভাড়ি দিয়ে স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে মূলহোতারা থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কারণ স্বর্ণসহ ভাড়িরা ধরা পরলেও তারা স্পটে থাকেন না। এক্ষেত্রে মামলাও হয় আটককৃতদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ জুয়েলারি এ্যাসোসিয়েশনের পাঁচবিবি শাখার সভাপতি হুমায়ান কবির বলেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে ভারতে সোনা পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু অবৈধভাবে যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করা যায় তাহলে সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয় না। সেইজন্য চোরাচালানকারীরা সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দিতে অবৈধভাবে চোরা চালানের পথ খোঁজে। অবৈধভাবে সোনা পাচারে লাভবান হয় পাচারকারীরা। আর সোনা পাচারে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে তারা। একারণে চোরাচালানকারীরা সীমান্ত এলাকা বেছে নেয়। যদি বৈধপথে এসব সোনা পাচার হত তাহলে সরকারের অনেক রাজস্ব বাড়ত।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়সাল বিন আহসান বলেন, সীমান্তে স্বর্ণ পাচারকারী আটকের বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে এজহার পেয়েছি। মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :