নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর রানা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার চাঞ্চল্যকর রানা হত্যা মামলার আসামি সাব্বির হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির জুরাইন এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, গত বছর ৯ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার সিএসআরএম ডেইরী ফার্মের সামনে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর রশি দিয়ে হাত ও পা বাঁধা অর্ধগলিত একটি মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলে পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর নিহতের পরিবার নিশ্চিত হন মৃত ব্যক্তির নাম মো. রানা (২৮)। সে জুরাইন এলাকার বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, নিহত রানা (২৮) তার পূর্ব পরিচিত ছিল।
র্যাব জানায়, তারা একই এলাকায় বসবাস করতো। ঘটনার দিন সাব্বির তার ভাই সাজ্জাদ এবং হত্যার শিকার হওয়া রানা নিজেদের মধ্যকার লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সাব্বিরের বাসায় মিলিত হন। সেদিন টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামি সাব্বির ও তার ভাই সুইচ গিয়ার দিয়ে রানার বুকে আঘাত করলে রানা মাটিতে পড়ে যান। পরবর্তীতে তারা ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে ঘাতকরা রানার হাত,পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে ২-৩ দিন সাব্বিরের রুমে লুকিয়ে রাখে। পরে ৯ ডিসেম্বর ভোরে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ ফতুল্লা মডেল থানার মুন্সিবাগে সিএসআরএম ডেইরী ফার্মের সামনে বস্তাবন্দি লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।
আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন