নতুন কারিকুলাম ও আমাদের প্রত্যাশা

জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তির উৎকর্ষের কারণে পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন-জীবিকা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পর্যায়ে একদিকে যেমন প্রচলিত কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে অন্যদিকে নতুন নতুন কর্মসংস্থানে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আবার অদূর ভবিষ্যতে কী হবে এখনো হয়তো আমরা জানি না। এসব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্ত দেশের টেকসই উন্নয়ন ও বিপুল জনগোষ্ঠীকে জন সম্পদে রূপান্তর করার সময়ের দাবি। আর এজন্য প্রয়োজন জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন অভিযোজনে সক্ষম দেশপ্রেমিক বিশ্ব নাগরিক।
জীবন নান্দনিক আনন্দময় সৃষ্টিশীল দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তুলতে ২০২১ সালের নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শিক্ষকদের ট্রেনিং হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে প্রায় সব শিক্ষক ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়েছেন যা ইতিবাচক। এখন শিক্ষককে আরও স্টাডি করে প্রযুক্তি জ্ঞান আয়ত্ব করতে হবে। শিখন পরিবেশ শিখন যথাযথ মূল্যায়নের মতো বিষয় নিশ্চিত করতে পেশাদারিত্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের শিক্ষকের জবাব দিহিতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করি। যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষায় শিখন সামগ্রীর গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর দক্ষতা যেমন বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি তার দায়িত্বশীলতা সহযোগিতার মনোভাব যাচাই করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান কারিকুলামে যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়। যোগ্যতা অর্জিত হবে জ্ঞান দক্ষতা দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যবোধের সমন্বয়। ফলে একজন শিক্ষার্থী সমাজে সংবেদনশীল ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে শিখবে। ভবিষ্যতে একজন গবেষক হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অংশীজনের ভূমিকা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিতে পারে সফলতা। আমাদের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দানে যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হোক এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক (বিজ্ঞান)
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা

মন্তব্য করুন