থাকতেন স্বামীর সঙ্গে, আবাসিক হোটেলে কেন উঠেছিলেন সোহান-কন্যা সামিয়া?

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রংধনু নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৩৯ পুবাইল, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন হোটেল রংধন আবাসিকের ২১০ নম্বর রুমে সামিয়ার মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল।
জানা গেছে, সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। রবিবার দুপুরে অনলাইনে বুকিং দিয়ে যাত্রাবাড়ীর রংধনু আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন তিনি।
ইফতারের আগে হোটেল বয়কে টাকা দিয়ে ইফতারিও আনান সামিয়া। পরে হোটেল বয় ইফতার নিয়ে এসে ডাকাডাকি করে সামিয়ার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন তার মরদেহ ঝুলে আছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরাতে যদি স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন সামিয়া, তাহলে যাত্রাবাড়ীর রংধনু আবাসিক হোটেলে তিনি কেন উঠেছিলেন। তবে কি স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে প্রাণ দিলেন সামিয়া? নাকি এই মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য?
যদিও আপাতত এসব প্রশ্নের জবাব নেই পুলিশের কাছে। তারা তদন্ত করে জানা চেষ্টা করছেন যে, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে কেন জীবন দিতে হলো নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের কন্যা সামিয়াকে। তার মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা যান সামিয়ার মা তথা নির্মাতা সোহানের স্ত্রী প্রিয়া। তার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই পরদিন বিকালে না ফেরার দেশে চলে যান নির্মাতা সোহানও।
(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/এএম/এজে)

মন্তব্য করুন