জুতা রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ী সাবেরকে খুন, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
জুতা রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাবের হোসেন। আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় করা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. ইয়াছিনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩ এবং র্যাব-১৫। রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলেন- মো. সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু ও আব্দুল জব্বার।
মঙ্গলবার র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “নিহত সাবের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। তার দোকানের সামনে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান আছে। ইয়াছিন শত্রুতার জেরে সাবেরকে ব্যবসা শুরুর পর থেকেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচাবিক্রিতে বাধা দিতেন। সাবের মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান। এ কারণে ইয়াছিন ও অন্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
২ এপ্রিল বিকালে সাবের নিজ দোকানের জায়গা সংকটের কারণে ইয়াছিনের বন্ধ দোকানটির সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখেন। এ নিয়ে ইয়াছিন সাবেরকে গালিগালাজ করতে থাকেন। সাবের এর প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “গ্রেপ্তার ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং পলাতক আসামি নুর হোসেন, এমরান ও কেফায়েতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন মিলে ধারালো ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেরকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নৃশংস হামলা চালান।”
এসময় গ্রেপ্তার ইয়াছিন তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সাবেরের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরও আসামিরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। পরে মার্কেটের লোকজন এবং সাবেরের ভাই ঘটনাস্থলে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।
এদিকে আহত সাবেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে গত ১৩ এপ্রিল টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান।
এএসপি মো. শামীম হোসেন আরও বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ২৯ এপ্রিল র্যাব-৩ এবং র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এসএস/এফএ)