প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার সময় হয়েছে: দুদু

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন তার যাওয়ার সময় হয়েছে।’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘তিনি দখলদার প্রধানমন্ত্রী। আইনের ভাষায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি দাবি করেছেন তাকে উৎখাত করা হবে অর্থাৎ তিনি বুঝতে পেরেছেন তার যাওয়ার সময় হয়েছে, তিনি এটা বুঝতে পারছেন ফিল করেছেন তাকে এখন যেতে হবে। কখন কীভাবে যাবেন তিনি যদি নির্ধারণ করেন তাহলে বিষয়টি সহজ হবে।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করলে গত ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, যে লুটপাট, যে নির্মমতা সেটার অবসান ঘটবে। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ সুগম হবে। একটা ভালো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা জনপ্রিয়, জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে তারা ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।’

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ কারাবন্দি সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘উনার (প্রধানমন্ত্রীর) কথায় মনে হচ্ছে বাংলাদেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উনি বলতে চাইছেন তারপরে কে আসবে এটা তো তার নির্ধারণ করার দরকার নাই। তার দল নির্বাচনে যাবে জনগণই নির্ধারণ করবে এই ফ্যাসিবাদের পরে কারা কারা ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। এটা ভাবা যায় না— দেড় লক্ষ মামলায় সারাবিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলের ৫০ লক্ষের অধিক বিরোধী দলের নেতাকর্মী আসামি। এটা ভাবা যায় না।’

আন্দোলনেই সফলতা আসবে দাবি করে দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলন করতে হবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের সফলতা আসবে। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে, এই ফ্যাসিবাদ সরকারকে আমরা যতদিন পর্যন্ত পরাজিত করতে না পারবো, যতদিন পর্যন্ত আমরা পদত্যাগে বাধ্য করতে না পারবো ততদিন এই আন্দোলন চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক। তিনি শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়, সারাবিশ্বে তিনি গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আপনি তাকে মিথ্যা মামলায় দণ্ডিত করে সাজা দিয়েছেন এবং তার প্রাপ্য জামিন না দিয়ে দণ্ডকে দ্বিগুণ করেছেন। এখন তিনি কারাগারে আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। মাঝে মাঝে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আমাদের দলের নেতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘সাহস থাকলে দেশে আসুন’’। আপনাদের যদি এতই সাহস হয়ে থাকে তাহলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। বাপের বেটি যদি আপনি হন এবং বাপের বেটা যদি ওবায়দুল কাদের হয়ে থাকেন একটু আসেন না কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করি।’

সংগঠনের উপদেষ্টা নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪মে/জেবি/এসআইএস)