নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতীয় দলে এখন সামলাবেন গোটা ক্রিকেট

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২৯
অ- অ+

দীর্ঘ একযুগ পর বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) সভাপতির পদ ছাড়লেন নাজমুল হাসান পাপন। যার ফলে শেষ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে পাপন অধ্যায়। পাপনের পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক ফারুক আহমেদ। এক সময় জাতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই ব্যাটার এবার সামলাবেন পুরো ক্রিকেট।

আজ সচিবালয়ের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বোর্ড পরিচালকদের জরুরি সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের ১৫তম সভাপতি এবং মেয়াদের বিচারে ১৭তম সভাপতি হচ্ছেন।

ফারুক আহমেদ ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি জনপ্রশাসন বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেন।

১৯৮৮ সালের ২৯ অক্টোবর এশিয়া কাপ টুর্নামন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার। একই দিন অভিষেক হয় ওয়াহিদুল গণি ও আকরাম খানেরও। ১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে তিনি ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ভারতের বিরুদ্ধে। এ খেলায় তৃতীয় উইকেট জুটিতে আতহার আলী খানের সঙ্গে ১০৮ রান করেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক করা হয় তাকে। কিন্তু তার অধিনায়কত্বে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দল সেমি-ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। যার ফলে অধিনায়কত্বসহ দল থেকে বাইরে চলে যেতে হয় তাকে।

তিনি ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের সবশেষ ম্যাচ খেলেন তিনি ১৯৯৯ সালের ২৭ মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি ৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১০৫ রান করেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে তিনি ২১ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেন ৪৩৭ রান।

নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ খেলোয়াড় জীবন শেষে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালদের মতো কিছু তরুণের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা দেখে তাদের জায়গা করে দেন জাতীয় দলে। যখন তিনি দায়িত্ব ছাড়েন তখন তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা হয়ে উঠছেন দলের ভরসা।

এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালে তিনি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান। কিন্তু বিসিবির দ্বি-স্তরের নির্বাচক কমিটি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের ইতিহাসও বটে।

তার অধীনে ২০১৫ বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সিরিজ জয় হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বোর্ডে দেখা যায় বিশৃঙ্খলা, কাজের মধ্যে হস্তক্ষেপ শুরু হয়। সিস্টেমেও গলদ দেখা দেয়, শুরু হয় বোর্ড কর্তাদের হস্তক্ষেপ। ২০১৬ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর এসব অনিয়মের কথা বিভিন্ন সময় জানিয়েছিলেন স্পষ্টভাষী ফারুক আহমেদ।

একসময় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া এই অধিনায়ক এবার সামলাবেন পুরো ক্রিকেট। তার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ক্রিকেট, সেই প্রত্যাশা সবার।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/ এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সদস্য আটক
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনো আপস করেননি: কাদের গনি চৌধুরী 
সুনামগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় শিশু নিহত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে শুরু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা