দেশে নয় কানপুরেও হতে পারে সাকিবের শেষ, যদি...

বাংলাদেশ ক্রিকেটে অন্যতম ভরসার নাম সাকিব আল হাসান। টাইগারদের বহু ম্যাচের নায়ক তিনি।দেশের জার্সিতে অভিষেকের পর গত ১৮ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কত যে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন তিনি, তা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। নিজে বিশ্বসেরা হয়েছেন, দেশকেও নিয়ে গেছেন সম্মানের জায়গায়।
এবার বর্ণীল এই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের একটি অংশকে বিদায় বলতে যাচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। ক্রিকেটে অন্যতম ভরসার নাম সাকিব আল হাসান। টাইগারদের বহু ম্যাচের নায়ক তিনি।
ক্রীড়াঙ্গনের কেউ হয়তো এমনটা আঁচও করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হুট করেই সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব জানালেন, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন তিনি। ২০ ওভারের ফরম্যাটে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই, আর টেস্টের শেষ ম্যাচ খেলতে চান অক্টোবরে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে। তবে সেক্ষেত্রে তার পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কারণে সাকিব যদি অনিরাপদ মনে করেন, তবে কানপুর টেস্ট দিয়েই বিদায় বলবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে শোনা গেল নিরাপত্তার ইস্যুটাও, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’
সাকিবের দরকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। সেই শর্ত না মিললে হয়ত কানপুরেই শেষবার সাদা পোশাকে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই খেলতে চাই। আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হবে।’
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাংলাদেশের এই তারকা এই অলরাউন্ডার জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ ম্যাচটা এরইমাঝে খেলে ফেলেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের বিদায়টা তিনি নেবেন ঘরের মাটি থেকেই। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে।
সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালে ভারত সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই ম্যাচ ড্র করেছিল। সাকিব কেবল ১ ইনিংসেই ব্যাট এবং বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন সেবারে। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৭ রান। বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্টটাও সেই ভারতের বিপক্ষেই খেলবেন সাকিব।
সাদা পোশাকে সাকিব এখন পর্যন্ত ৭০ টেস্ট খেলেছেন। ব্যাট হাতে ৩৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৬০০ রান। সেঞ্চুরি আছে ৫টি, অর্ধশতক ৩১টি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের। বল হাতে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট। তিনিই অন্য দুই সংস্করণের মতন টেস্টেও দেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
(ঢাকাটাইমস/২৬ সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন