কানপুর টেস্ট: তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত

ভারত-বাংলাদেশ কানপুর টেস্টে শুরু থেকেই ছিল বেরসিক বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। একই কারণে দ্বিতীয় দিন কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে। আর আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি না থাকলেও আউটফিল্ড ভেজা থাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে তৃতীয় দিনের খেলা। মূলত মাঠের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিশ্বমানের না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টি না থকালেও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে তৃতীয় দিনে সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। তখন খেলা পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
পরবর্তীতে সাড়ে ১২টায় আবারও মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। কিন্তু সাড়ে ১২ টার দিকেও আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা শুরুর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি আম্পায়াররা। ফলে বাংলাদেশ সময় আড়াইটায় আবারও মাঠ পর্যবেক্ষণে নামেন তারা।
তবে তৃতীয় দফায় মাঠ পরিদর্শন করে কোনো সুখবর দিতে পারেননি আম্পায়ারা। বরং আউটফিল্ড ভেজা থাকায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তারা। যার ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হলো তৃতীয় দিনের খেলা।
এর আগে কানপুর টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শুরুতেই দুই উইকেটে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপরেই জুটি গড়ে এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেসে তোলার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তবে লাঞ্চ বিরতির পর শান্ত ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
শান্তর বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে জুটি গড়েন মুমিনুল। এই জুটিতে ভর করে ৩৪ ওভারে দলীয় ১০০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ৩৫ ওভারে ১০৭ রান সংগ্রহ করার পর আলো স্বল্পতার কারণে খেলা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বৃষ্টিও। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় এবং চারপাশ বেশ অন্ধকার হয়ে আসায় প্রথম দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
দুপুরের দিকে বেশ কিছুটা সময় কানপুরে বৃষ্টি হয়নি। সেই সময় পুরো মাঠে তিনটি সুপার সোপার দিয়ে পানি সরানোর প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। তবে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন না দেখা যাওয়া কিংবা মাঠ প্রস্তুত করে খেলা গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই আড়াইটায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। আর দ্বিতীয় দিন কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯ সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন