ভৈরবে আবার মেঘনার ভাঙন শুরু, মুহূর্তেই বিলীন দুটি ঘর ও লোহার সামগ্রী 

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪১
অ- অ+

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় আবার দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ইতিমধ্যে ভৈরববাজার আশুগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় রাইস মিলের দুটি ঘর ও ওয়ার্কশপে নির্মাণাধীন বাল্কহেডের কয়েক লাখ টাকার লোহার সামগ্রী চলে যায় নদীগর্ভে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলার কারণে বারবার মেঘনা নদীতে ভাঙন দেখা দিচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভৈরববাজারের আশুগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাইস মিলের পাশে প্রায় ২০০ মিটার জায়গা নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে কোটি টাকার নির্মাণাধীন একটি বাল্কহেড।

এদিকে মেঘনা নদীর ভাঙনের খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন ও কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত থেকে ধীরে ধীরে মেঘনা নদীর ভৈরব অংশের পাড় ভাঙন দেখা দেয়। এর পরেই মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ২০০ মিটার জায়গা নদীতে তলিয়ে যায়।

এর আগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় দিকে মেঘনা সেতুসংলগ্ন তেলের ডিপোঘাট এলাকায় নদীভাঙনের কবলে পড়ে ১৮০ মিটার ভূমিসহ প্রায় ২০টি কাঁচা ঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির একাংশসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিল। এখনো সর্বহারা হয়ে অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এই ঘা না শুকাতেই ৫ মাসের মধ্যে আবার ভৈরববাজার এলাকার ভৈরব-আশুগঞ্জ ঘাটে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙনের স্থায়ী সমাধান না করতে পারলে হুমকিতে থাকবে বন্দরনগর ভৈরব শহর। সেই সাথে হুমকিতে রয়েছে ভৈরব বন্দর এলাকার তিনটি রেল ও সড়কসেতু, দুটি তেলের ডিপো ও বিএডিসির দুটি সারের গুদাম।

স্থানীয় রাইস মিল মালিক পিয়াল বলেন, ‘আমি রাতের বেলায় বাসায় নামাজ পড়ছিলাম। সেই সময়ে খবর পেলাম আমার মিলের দুটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগেও ২০২২ সালের ভাঙনের সময় দুটি রাইস মিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই ঘটনায় দুজন শ্রমিক প্রাণ হারায়।

বন্দরের ওয়ার্কশপ মালিক তাহের মিয়ার ছেলে ইমন বলেন, ‘মেঘনা নদীর পাড়ে আমাদের বড় একটি বল্কহেড তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ করে রাতের বেলায় মেঘনায় নদীভাঙনে প্রায় ২০০ মিটার জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। আমার দুই কোটি টাকার নৌকা নদীভাঙনের মুখে। ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার লোহার শিট নদীতে চলে গেছে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, মেঘনা নদীতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে নদীভাঙনে ১৫০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।’

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
১৭ বছর পর মায়ের ছোঁয়া পেলেন ডা. জোবাইদা রহমান 
আ.লীগ প্রতিরোধে ৩৫ সংগঠনের ‘জুলাই ঐক্য’-এর আত্মপ্রকাশ
রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বড় ধরনের সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে না
গুম-ক্রসফায়ার আতঙ্ক নিয়ে রাজপথে থেকেছি, ৮০’র অধিক মামলা খেয়েছি: বিএনপি নেতা সাজু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা