নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন ডিসিরা: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৯| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪০
অ- অ+

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে (মঙ্গলবার) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবার ডিসিরা নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করতে পারবেন। কেউ রাজনৈতিকভাবে তাদের ওপর কোন প্রভাব খাটাতে পারবেনা। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে ডিসিদের কোন অসুবিধা হবে না। কেননা এবারের নির্বাচন নির্দলীয় ব্যবস্থাপনায় হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের পাহাড়ের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। পাহাড়ের তালিকা পেয়েছি আমরা। পাহাড় কাটলে আগে শ্রমিকদের ধরা হতো, এখন থেকে মালিককে ধরা হবে। এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, বন দখলমুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। আইন অনুযায়ী বন থাকে ডিসিদের নামে। বন উদ্ধারের বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের ঢালে সড়কের পাশে সংরক্ষিত বন ঘোষিত এলাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ৫১ একরের আবাসন প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, বনাঞ্চল সংরক্ষণে মধুপুর শালবনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, অবৈধ দখলমুক্তকরণ ও সংরক্ষিত বন এবং নদী ও জলাশয়ের রেকর্ড সংশোধনের বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, জেলাগুলোতে নদ-নদী দখল ও দুষণ মুক্ত করতে জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। এসব নির্ধারণ করে এদের আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে কোনো মহাপরিকল্পনা নাই। চীন একটা পরিকল্পনা দিয়েছিল। ২০২৬ এর পরিকল্পনার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তিস্তা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পরিকল্পনা সরকারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বালু ও পাথর উত্তোলনের আগে অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। দূষণবিরোধী অভিযানে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং প্রয়োজনে যৌথ বাহিনীর সহায়তা গ্রহণের ওপরও তিনি জোর দেন। তিনি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বনাঞ্চলগুলোর পাশাপাশি দ্বীপ যেমন সেন্টমার্টিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সিলেটের জাফলংয়ের নদী এলাকায় ইকো ট্যুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে, তাদের মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের কণা উপস্থিত থাকবে। সুতরাং প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি সকল সরকারি কর্মস্থলকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত করার বিষয়ে আহ্বান জানান।

ঢাকার খাল সিটি করপোরেশনের অধীনে রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাল দখল করে যারা কাঁচা- বাজার নির্মাণ করে জায়গা দখল করেছেন তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিগারেটের মূল্যস্তর কমিয়ে তিনটি করার দাবি
পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি
মতিঝিলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ রাজউক চেয়ারম্যানের
কেরানীগঞ্জে র‌্যাব পরিচয়ে বাস ডাকাতি, অস্ত্রসহ  আটক ৫
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা