প্রাণনাশের হুমকি: প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় আরও এক জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৬| আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪১
অ- অ+

ভয়ংকর প্রতারক ও মামলাবাজ সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে এবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শরিফ সরকার নামে এলডিপির এক নেতা। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় জিডিটি করেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে প্রতারক সিকদার লিটন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন এলডিপি নেতা শরিফ। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বিষয়টি তিনি আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন।

শরিফ সরকার তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, সিকদার লিটন একজন প্রতারক, মামলাবাজ, দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসী লোক। সে ফেসবুকে সমাজের সম্মানিত লোকদের নামে বিভিন্ন সময় মনগড়া কথাবার্তা লিখে ফেসবুকে প্রচার করে থাকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি লিটন সিকদার স্থানীয় তৃপ্তি খানমকে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন কথাবার্তা পোস্ট দিলে ওই পোস্টের জবাবে আমি অন্য আরেকটি পোস্ট শেয়ার করি। এতে লিটন সিকদার আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চালিত ‘বাংলাদেশ এলডিপি’ ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। একইদিন সে আমাকে স্থানীয় গোপালপুর বাজারে পেয়ে একই হুমকি দেয়। আমার ধারণা, সিকদার লিটন যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি, মানসম্মান নষ্ট এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে পারে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে জানান তিনি।

এদিকে সিদকার লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে শরিফ সরকার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তার (লিটন) বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এলাকায় মোবাইল চুরি, চাকরির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতানোসহ নানা অপরাধে সে দীর্ঘকাল এলাকা ছাড়া। তারপরেও এলাকার অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে সে ফাঁসিয়েছে। নিজের শ্বশুরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দিয়েছে ভয়ংকর এই প্রতারক। সিকদার লিটনের বিকাশে সর্বশেষ তিন মাসে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সে না কোনো ব্যবসায়ী, না কোনো চাকরিজীবী।প্রতারণার মাধ্যমেই সে এসব টাকা কামিয়েছে।’

এর আগে প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি জিডি করেন স্থানীয় তৃপ্তি খানমের বোন।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘সিকদার লিটন একজন ভয়ংকর প্রতারক, ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষতিকারক লোক। সে সব সময় এলাকার মানুষকে ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত থাকে। সিকদার লিটন আমার বোন তৃপ্তি খানমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার পাঁয়তারা করিতেছে। যাতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মানসম্মান জড়িত।’

জানা গেছে, সিকদার লিটনের বাড়ি আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টির বেশি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, প্রতারণা অন্যতম।

গত বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে আলফাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় লিটনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠান। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে পূর্বের আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।

আলফাডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বলেন, ‘সিকদার লিটন একজন ভয়ংকর ও পেশাদার অপরাধী। দেশের বিভিন্ন জেলায় তার প্রতারণার ফাঁদ বিস্তৃত। তার বহু বিবাহও এলাকায় আলোচিত-সমালোচিত।’

এদিকে স্থানীয় তৃপ্তি খানমের সঙ্গে ঢাকার একটি হোটেলে সিকদার লিটনের রাত্রীযাপনের ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলমান রয়েছে। এই তৃপ্তিকে কাজে লাগিয়ে মামলা বাণিজ্য চক্র গড়ে তুলেছিল প্রতারক জেলখাটা দাগি আসামি সিদকার লিটন।

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/এসএস/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিরাপদ স্থান ছাড়াই চার লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আবারও বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
শোবিজ তারকারা ব্যাট-বল নিয়ে আবারও মাঠে নামছেন  
এপ্রিলে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিকে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য প্রচার
গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন নিহত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা