রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সবাই একমত হবেন, আশা আলী রীয়াজের

জাতি ও রাষ্ট্রের অগ্রসর হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে সব বিষয়ে সবাই একমত না হলেও রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরির ক্ষেত্রে সবাই একমত হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আজ শনিবার (৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) আলোচনার শুরুতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা তাদের লক্ষ্য- এ কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, এই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে তৈরি হবে একটি জাতীয় সনদ। জাতীয় স্বার্থে ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের বিষয়ে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব। কিন্তু যেসব বিষয় রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচনায় অংশ নেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এতে ছিলেন– বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম এন শাওন সাদিকী, কারী আবু তাহের প্রমুখ।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর মতামত জানাতে সুপারিশগুলো ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। আর এখন পর্যন্ত ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয় কমিশনের।
(ঢাকাটাইমস/৩মে/মোআ)

মন্তব্য করুন