টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফ সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) ভোরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ সীমান্ত এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়—মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান মির্জাজোড়া এলাকার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে মির্জাজোড়া এলাকার কৌশলগত স্থানে বিশেষ টহল ও নাফ নদীতে নৌ টহল মোতায়েন করা হয়।
ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে মায়ানমারের জলসীমায় একটি নৌকাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে টহল দল। কিছুক্ষণ পর ওই নৌকা থেকে দুই ব্যক্তি নদীতে নেমে সাঁতরে কেওড়া বাগানের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকেন। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করেন। এ সময় চোরাকারবারীরা তাদের সঙ্গে থাকা দুটি প্লাস্টিকের বস্তা কেওড়া জঙ্গলের পাশে একটি মাছের প্রজেক্টের কাছে ফেলে দিয়ে জঙ্গলের ভেতর পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ফেলে যাওয়া দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলো বিশেষভাবে মোড়কজাত ছিল। তবে মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানায়, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘সীমান্তে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে। এ অভিযান বিজিবির মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিরই প্রমাণ।’
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত ইয়াবা পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে মাদক, চোরাচালানসহ সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রম রুখতে বিজিবির অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এসএস)

মন্তব্য করুন