ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের, আহত ৮৬

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আবারও নতুন মাত্রা যোগ হলো ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষে। ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হাইফায় সরাসরি আঘাত হেনেছে। টাইমস অব ইসরায়েল-এর বরাতে জানা যায়, এই হামলায় অন্তত ৮৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় সতর্কতামূলক কোনো সাইরেন বাজেনি, যা ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় ধরনের ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ড ঘটনাটি তদন্ত করছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর পরপরই ইরান এই প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি এবং মেহর নিউজ জানায়, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও সরকারি অবকাঠামোয় ২০তম পর্যায়ের আক্রমণ চালিয়েছে।

মিডল ইস্ট অবজারভার জানিয়েছে, হাইফায় একটি উপকূলীয় ছোট শহরে বাড়িঘর ধসে বহু মানুষ চাপা পড়েছেন। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা আহত ব্যক্তিদের বহন করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ওই উপকূলীয় শহরের বেশিরভাগ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

হামলার পর ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এখন থেকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোও তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। এর অর্থ, সংঘাত শুধু ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি টেনে আনার সম্ভাবনা বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরাসরি হামলা এক নতুন বাস্তবতার সূচনা করলো, যেখানে আগাম হুঁশিয়ারি ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ শহরে আঘাত হানছে ইরান। ফলে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোয়েন্দা প্রস্তুতি এবং মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান এই উত্তেজনা এখন সম্পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

(ঢাকাটাইমস/২২ জুন/আরজেড)