ক্যানসার ও হাই প্রেসার দূরে রাখে পালং শাক! কোষ্ঠকাঠিন্যেরও যম
শীত আসতেই বাজার ছেয়ে গেছে নানা রকম শাক-সবজিতে। তারই একটি হলো পালং শাক। স্বাদে এবং পুষ্টিগুণে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো সারা পৃথিবীর তাবড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা পালং শাকের গুণ কীর্তনে ব্যস্ত। কারণ, এই শাকে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের ভাণ্ডার।
তাই পালং শাককে ডায়েটে জায়গা করে দিলে যে অচিরেই স্বাস্থ্য়ের হাল ফিরবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তবে এই শাকের সমস্ত গুণ পেতে চাইলে মাঝে মধ্যে এর জুস করে খেতে পারেন। তাহলেই স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বদলে যাবে। এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক রোগের ফাঁদ।
সুতরাং সুস্থ সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব পালং শাকের জুসের একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিয়মিত এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
চোখের বন্ধু
পালং শাকের জুসে রয়েছে লিউটিন এবং জিয়াজ্যানথিনের মতো উপাদান। এমনকি এই শাক হলো ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার। এসব উপাদান চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এমনকি এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ড্রাই আইজ প্রতিরোধের কাজেও এদের জুড়ি মেলা ভার। তাই চক্ষুযুগলের হাল ফেরানোর ইচ্ছে থাকলে নিয়মিত পালং শাকের জুসে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন! তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করবে
ক্যানসারের মতো একটি জটিল অসুখের ফাঁদে পড়লে রোগীর পাশাপাশি রোগীর পরিবারকেও একাধিক ঝক্কি পোহাতে হয়। তাই যেনতেন প্রকারেণ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হবে। এ কাজে আপনার সফরসঙ্গী হতে পারে পালং শাকের জুস।
এই পানীয়ে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে, যা দেহে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই কর্কট রোগের করাল গ্রাস এড়াতে চাইলে এই পানীয়ের শরণাপন্ন হতেই পারেন।
নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড প্রেশার
পালং শাকের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট, যা কিনা রক্তনালীকে প্রসারিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। রক্তনালী প্রসারিত হলে যে রক্তচাপ বিপদসীমার নীচে চলে আসবে, তা তো সহজেই অনুমেয়!
শুধু তাই নয়, এই পানীয় হলো পটাশিয়ামের ভাণ্ডার, যা দেহ থেকে সোডিয়ামকে বের করে দিতে পারে। এই কারণেই হাই ব্লাড প্রেশারকে বশে রাখা সম্ভব হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই এই পানীয়কে ডায়েটে জায়গা করে দিন। তাহলেই আপনারা সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের যম
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কিনা মল নরম করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নিয়মিত এই শাকের জুস খেলে যে সহজেই পেট পরিষ্কার করা সম্ভব হবে, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই নিশ্চয়ই!
এছাড়া এই শাকে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা কিনা অর্শের প্রকোপও কমাতে পারে। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত পালং শাকের জুসের গ্লাসে চুমুক দিতেই পারেন। তাতেই কিন্তু ব্যথা, ফোলা কমবে।
এড়াতে পারবেন ক্রনিক রোগের ফাঁদ
বিপাকের ফলে শরীরে কিছু ক্ষতিকর উপাদান বা ফ্রি ব়্যাডিকেলস উৎপন্ন হয়। এবার সুস্থ থাকতে এসব ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে যত দ্রুত শরীরের বাইরে বের করে দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
এই কাজে আপনার সহযোগী যোদ্ধা হতে পারে পালং শাকের জুসে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই একাধিক দীর্ঘমেয়াদী রোগের খপ্পর থেকে বাঁচতে চাইলে এই পানীয়ের সঙ্গে দ্রুত সন্ধি করে নিন। তাহলেই বদলে যাবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।
(ঢাকা টাইমস/১৯নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন