পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা: ফের অনুসন্ধানে দুদক, মোশাররফের বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য উদঘাটন

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি সংক্রান্ত বহুল আলোচিত মামলাটি নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, নতুন অনুসন্ধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উপাত্ত হাতে এসেছে, যা পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।
বিশেষ করে, পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। এরই মধ্যে তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে তাদের কার্যক্রমে নীতিমালার ব্যত্যয় এবং স্বার্থের সংঘাতের সম্ভাব্য ইঙ্গিত।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, “আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, পরামর্শক নিয়োগে অনিয়ম এবং ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট। তদন্ত শেষ হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
এর আগে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দুদক পুনরায় মামলাটি জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। এর ধারাবাহিকতায় ফের খতিয়ে দেখা হচ্ছে ২০১২ সালের সেই বহুল আলোচিত ঘটনার নেপথ্য।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। তবে পরবর্তীতে তৎকালীন দুদক কমিশনার বদিউজ্জামান ও সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নেতৃত্বাধীন কমিশন রহস্যজনকভাবে মামলা নিষ্পত্তি করে দেয়।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই এ বিষয়ে পুনরায় তৎপর হয় দুদক। পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে তদন্তে নামে তারা।
দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে এ মামলার পুনরুজ্জীবন নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মামলাটি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
(ঢাকাটাইমস/১ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন