নরসিংদীর এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার গল্প
লাল-সবুজের পতাকা খচিত বিশ্ব-মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ অর্জনে পাক-বাহিনী বিরোধী দুঃসাহসী লড়াকু বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আজও পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। নরসিংদীর বেলাব উপজেলার চর-লক্ষ্মীপুর নামাপাড়া গ্রামের মৃত. শামসুজ্জামানের পুত্র আব্দুল খালেক বার্ধক্যজনিত কারণে উপার্জনের ক্ষমতা হারিয়ে জীবন সংগ্রামে পরাজিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তার পরিবার পরিজন নিয়ে বেহাল-দশায় দিনাতিপাত করলেও মানবেতর জীবিকা নির্বাহকারী পরিবারটিকে দেখার কেউ নেই!
বিগত সময়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি সর্বস্ব হারিয়ে স্থানীয়দের দয়া-দাক্ষিণে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করলেও বর্তমানে একই উপজেলার স্কুল পাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি যে ১০ হাজার টাকা ভাতা পান, তার সিংহভাগই চলে যায় বাড়ি ভাড়া আর চিকিৎসায়। টাকার অভাবে চিকিৎসাও ঠিক মত হয় না তার।
বেলাব সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাপ মিয়ার জানান, যুদ্ধের পর থেকে তিনি সহায় সম্বল হারিয়ে অসহায় অবস্থায় পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে স্কুলপাড়া গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে কোন রকম দিনাতিপাত করছেন।
এই জনপ্রতিনিধি বলেন, একটি বাড়ি নির্মাণে সহায়তা পেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক জানান, সেক্টর কমান্ডার সফিউল্লাহর নেতৃত্বে কল-কলিয়ার তিননং সেক্টরে হেজামারার আওতায় কল-কলিয়া থেকে দুরালাল মনিপুর পাকিস্তানিদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গেজেট নং- ৬৩৭, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন সাময়িক সনদ, দেশ-রক্ষা বিভাগ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ নং- ৭০৫৭৯, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সনদ নং-০৪৩০২, লাল মুক্তিবার্তা সনদ নং-০১০৫০৩০৪০৯, জাতীয় তালিকা নং-১০৭, কল্যাণ ট্রাস্ট সনদ নং-৩৩৮৪ পেয়েছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন