পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিতে চাই: ডিবিপ্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমরা আর কোন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না। আন্তরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিতে চাই, কারো কোন কষ্টের কারণ হতে চাই না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বাড্ডার টাইকিং পার্টি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আমাদের কাজের মাধ্যমে পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে চাই। আপনারা যে কোনো প্রয়োজনে আসবেন আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন করে পাওয়া এই বাংলাদেশকে আমরা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কটা খুবই নিবিড়। একে অন্যের পরিপূরক। পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। একটি সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে এককভাবে পুলিশের পক্ষে কোনোকিছুই করা সম্ভব নয়, যদি না জনগণ তথ্য ও সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকে।
এসময় গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। যার ফলে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনিভাবে পুলিশি সেবায়ও এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগামীতে পুলিশকে আরো জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অনিক জাহান শাওন বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দেশ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে সকল দল ও মতের সমর্থন থাকবে। এই দেশের অপরাধ প্রতিরোধে আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। বিশেষ করে সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পাশে আমরাও দাঁড়াতে চাই। জনবান্ধব পুলিশি সেবার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ও সুন্দর।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এলএম/এমআর)
মন্তব্য করুন