প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হচ্ছে: অতিরিক্ত কমিশনার ইসরাইল
এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষে প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার বিকালে শাহ আলী থানা এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার।
ইসরাইল হাওলাদার বলেন, পুলিশের যে কাজ তা আইন দ্বারা নির্ধারিত। আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বিশেষ করে কোন দাঙ্গা হলে তাতে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে প্রথমে সমবেত জনতার সাথে আলোচনার কথা অনুসরণ করার কথা বলা আছে, যদি সেটি কাজ না করে তাহলে ধাপে ধাপে অন্যান্য পদক্ষেপের কথা বলা আছে। এর সর্বশেষ ধাপ হল নিজের জীবন ও সম্পদ বা অন্যের জীবন ও সম্পদ আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার উদ্দেশে পুরো মাত্রায় প্রতিরোধে যাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপটি সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে আইনে নির্দেশিত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে যাতে যেকোনো সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায় এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশ পরিচালনা করা রাজনীতিবিদগণের কাজ। আর প্রশাসনের কাজ হল আইনের মধ্য থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণমূলক রাষ্টনীতিগুলো বাস্তবায়ন করা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, শাহ আলী থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক নির্মূলের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে তার জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আপনার একটু ধৈর্য ধারণ করুন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হচ্ছে যাতে এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এলএম/এমআর)
মন্তব্য করুন