বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ওরস শুরু কাল
শাহ্সূফি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) সাহেবের চার দিনব্যাপী ওরস শনিবার ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে শুরু হবে। এতে কয়েক লাখ লোকের সমাগত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ওরস।
পীরজাদা খাজা মাহ্ফুযুল হক মুজাদ্দেদী ও পীরজাদা খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেব আজ সমবেত মুসলমানদের সাথে নিয়ে বিশাল জামাতে জু‘মার নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রতিনিধিদ্বয় সমবেতদের সাথে নিয়ে বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারত করেন। এরপর প্রথাগতভাবে আজ ওরস শরিফের সার্বিক কর্মকাণ্ডেরর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ওরসে শরিফে অংশ নিতে কয়েক দিন আগে থেকেই মানুষের ঢল নামে জাকের মঞ্জিলে। আজ থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক কাফেলা। চারদিনের ওরসে ওয়াক্তিয়া নামাজের সঙ্গে নফল ইবাদত বন্দেগি, কোরআর তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত কামনা করবেন মুসল্লিরা।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে ওরস শরিফ আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মূল ভেন্যুতে অসংখ্য স্থাপনা ও সামিয়ানা, সুউচ্চ সুসজ্জিত তোরণ ও কোরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড টানানো হয়েছে।
এছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আলাদা কম্পাউন্ড, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, ৫৮টি ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে পুরো আয়োজন সমন্বয় ও পরিচালনা করা হচ্ছে।
১৯৫৩ সালে শাহ্সূফী খাজা এনায়েতপুরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের নির্দেশে বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী হেদায়েতের বাণী প্রচারে ফরিদপুরের সদরপুরের প্রত্যন্ত এক পল্লী আটরশিতে আগমন করেন। সেবার ঈদুল আযহায় মাত্র তিনজনের জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন তিনি। নিজ পিতৃভূমি বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর থেকে অনেক দূরে এসে মিশন শুরু করেন। তার ছোঁয়ায় অনেকে হেদায়েতের বাণী গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বিশ্বওলী চলমান এবং অনাগত বিশ্বের শান্তিকামী বিশ্বমানবতার জন্য গড়ে তোলা তীর্থস্থান। যা পর্যায়ক্রমে কুড়ে ঘরের জাকের ক্যাম্প থেকে জাকের মঞ্জিল এবং পরবর্তীতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল রূপে সারা বিশ্বে পরিচিত।
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর)