নারায়ণগঞ্জের ডিসি আদালতে
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনারগাঁও উপজেলার ছয়টি মৌজায় কৃষিজমি, জলাভূমি ও নিচু জমি ভরাট করে ইউনিক প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে এসেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। বুধবার সকালে তিনি আদালতে হাজির হন।
ব্যক্তিগত হাজিরা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাব্বি মিয়াকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। বিবাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
সাঈদ আহমেদ বলেছিলেন, সোনারগাঁয় উপজেলায় ছয়টি মৌজায় কৃষি জমি, নিচু জমি ভরাট করে ইউনিক প্রপার্টিজ সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর বিরুদ্ধে বেলা রিট করে। ২০১৪ সালের ২ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে। একইসঙ্গে সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। যে অংশ ভরাট করা হয়েছে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
রুলে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর, জেনপুর, ছয়হিস্যা, চরভাবানাথপুর, ভাটিবান্ধা ও রতনপুর মৌজার কৃষি জমি, জলাভূমি, নিচু ভূমি রক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ সংশোধন করে দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত সেটি স্থগিত করে দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। বিষয় নিষ্পত্তি না করেই আবারও প্রতিষ্ঠানটি মাটি ভরাট শুরু করে।
সাঈদ আহমেদ জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টে রুল শুনানি অবস্থায় ওই প্রকল্পে মাটি ভরাট কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। পরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন এবং তলবের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার আদালত নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও মাটি ভরাটের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকতে তলব করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এমএবি/এমআর)