লেখাপড়া ও খেলাধুলা সমান তালে চলে মনিরার
ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সব খেলাতেই সাফল্য পেয়েছেন মনিরা বেগম। অবসরে বইয়ের ‘রিভিউ’ করেন।
মনিরা বলেন, আমি সময় ভাগ করে পড়ালেখা করেছি। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পড়া শেষ করার তাড়া ছিল। যখন যা-ই করি না কেন, খেলাধুলা বা ঘোরাঘুরি করার পরও দু-এক ঘণ্টা পড়েছি। ক্লাস লেকচার টুকে নিতাম, আর পরীক্ষার আগের সময়টা কাজে লাগাতাম।
মনিরা এ বছর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ নিয়ে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। আর তা হলো- সাংবাদিক সাহিত্যিক কাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ও রাশিদা মহিউদ্দিন মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক।
নরসিংদীর শিবপুর থানার বংশিরদিয়ায় তাদের বাড়ি। বাবা প্রবাসী। মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেয়েদের খেলাধুলা করাটা সেখানকার কেউ কখনো ভালো চোখে দেখেনি।
কলেজের দুই বছর আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর খেলাধুলায় বিরতি ছিল। কিন্তু হলে ওঠার পর থেকে আবার শুরু। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃহল নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পরপর দুটি ম্যাচে সেরা বোলার মনিরা। আন্তঃহল ক্যারামে চ্যাম্পিয়ন। ব্যাডমিন্টনের ডাবলসে রানারআপ। বিভাগের ব্যাডমিন্টন ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন। হলের ফুটবল দল গড়ে তোলা তার জীবনের অন্যতম অর্জন। ভলিবলে তার দল আন্তঃহল টুর্নামেন্টে রানারআপ। এতসব করেও টানা ভালো ফল করে গেছেন মনিরা।
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে স্বর্ণপদক নেয়ার দৃশ্যটি টেলিভিশনে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল, যা তার বাবা-বিদেশে বসে দেখেছেন; আর সবাইকে ডেকে গর্ব করে বলেছেন, দেখেন, আমার মেয়ে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন