‘থানায় আসামি নির্যাতনে পটুয়াখালীর এএসপি সাইফুল’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৪:২৬ | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:৪৭

পটুয়াখালীর বাউফল থানায় এক আসামিকে উপজেলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাইফুল ইসলাম নির্যাতন করেছেন বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আইজিপির পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রবিবার সকালে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি মামলার আসামি কে এম হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম। ধরার পর পর তাকে থানা হাজতে আটক রাখা হয়। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ওই দিন রাত সাড়ে ১২ টায় থানা হাজত থেকে বের করে হাজিরফুর রহমান বিজয়কে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠে। তদন্তে এই অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাআজম খান ফারুকী ও পরিদর্শক (তদন্ত)লুৎফর রহমান, উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘বাউফলে এক আসাসিকে ওসির রুমে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর হাফিজুর রহমান বিজয়ের মা জোসনা বেগম এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এএসপি সাইফুল ইসলামকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে হাফিজুর রহমান বিজয়ের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে বলে আদালত। এ বিষয়ে ১৯ মার্চ আদেশের জন্য ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এএসপি সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকীকে তলব করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে আইজিপিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

বিজয়ের মা জোসনা বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর রাত ১২টার দিকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির কক্ষে এনে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত কয়েক দফা তার ছেলের উপর নির্যাতন চালানো হয়। লাঠি দিয়ে তার ছেলেকে পেটানো হয়।

বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, বিজয় তার ছেলের বন্ধু। বিজয়কে নির্যাতন করার খবর পেয়ে তিনি বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। এসময় ওসি তাকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। পরে এসে ঘটনাটি শুনেছেন। সার্কেল এসপি নাকি তাকে ২-৩টি বাড়ি দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯ মার্চ/এমএবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :