আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করলেন ‘বড় মিজান’
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুই দফা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবীর কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ গত ২২ মার্চ এ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রদানে রাজি হওয়ায় রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি গ্রহণের আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলায় এ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এরও আগে বড় মিজান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানীর কাকলী রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় সন্ত্রাসবিরোধ আইনের একটি মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল ছিলেন। এর আগে তিনি জুন্দ আল তাওহিদ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, এ মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।
(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/আরজেড/জেবি)