নামে নামে যমে টানে
কথায় আছে নামে নামে যমে টানে। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় অন্যের মামলায় জেলে যেতে হলো চা বিক্রেতা কাওসার উকিলকে।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায়। গত ২৩ মার্চ ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই সুজন চক্রবর্তী চা বিক্রেতা কাওসারকে গ্রেপ্তার করে করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয়। বিনা অপরাধে আটদিন ধরেই জেলে আছেন কাওসার।
চা বিক্রেতা কাওসার উকিল উপজেলার ২নং নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের হেতালিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেম উকিলের ছেলে।
যে মামলায় কাওছারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে মামলাটির বাদী খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার নবীনগর গজালমারী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের মেয়ে শীমু আক্তার।
শীমু আক্তার ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তার স্বামী মিঠু উকিল, শ্বশুর কাওছার উকিল, শাশুড়ি খুকী বেগম ও ননদ রাজিয়া বেগমসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যার নম্বর ৪৬৭/১৬।
আসামিদের স্থায়ী ঠিকানা (বাড়ি) ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামে।
খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মজিদ বলেন, ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে শীমু আক্তার ও মিঠু উকিলের বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বিমত হলে এ মামলাটি করেন শীমু আক্তার।
তিনি বলেন, আসামি আদালতে হাজির না হলে আদালত বাদীর শ্বশুর চরখালী গ্রামের বাসিন্দা কাওছার উকিলের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। আর পুলিশ কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই না করেই নামের মিল থাকায় হেতালিয়া গ্রামের কাওছার উকিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
আব্দুল মজিদ আরও বলেন, বিনা অপরাধে জেল হাজতে থাকা কাওছার উকিলের জামিনের জন্য ২৯ ও ৩০ মার্চ দুইদিন আদালতে আবেদন করেছিলাম। তবে আদালতের কার্যক্রম না চলায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রবিবার আবার জামিনের আবেদন করব।
এ ব্যাপারে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তার নাম ঠিকমত বলতে পারেনি। বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জানতে চাইলে ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই সুজন চক্রবর্তী বলেন, শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় আরেক জনকে গ্রেপ্তার করে অন্যায় ভাবে জেল খাটানো আমার ভুল হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)