মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের কপি কারাগারে
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছে। জেলকোড অনুযায়ী যেকোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর হবে।
সোমবার দুপুরে আবেদনের নথি কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই দুই জঙ্গির ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য জেলায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, দুপুরে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দুই জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের নথি কারাগারে এসে পৌঁছেছে। সরকারের নির্দেশনা পেলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ফাঁসি কার্যকর করতে মহড়া দেয়াসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ফাঁসির কুপ, ফাঁসির জন্য বিশেষ রশি ‘ম্যানিলা রো’ তিন দিন আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে জল্লাদ রাজুও।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের পর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হিমেল কনডেম সেলে থাকা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের আচরণে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। তারা নিয়মিত দৈনন্দিন খাবার গ্রহণ করছেন। এছাড়া নামাজ ও ধর্মীয় বই পাঠ করে সময় কাটাচ্ছেন। তবে ওই দুই জঙ্গির সঙ্গে দেখা করার জন্য এখনো আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়া হয়নি।
নিরাপত্তা জোরদার
দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর কারাগারের আশপাশের এলাকায় নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ‘গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, যেহেতু মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই পুলিশ অতিরিক্ত সতর্ক রয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তায় কাজ করছে।’
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনাই ছিল এই তিন জঙ্গির বাঁচার শেষ সুযোগ। গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন। পরে রাষ্ট্রপতি আবেদন নাকচ করলে ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুতি নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর
মন্তব্য করুন